পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধুর যোজনা 2020 | WB Krishak Bandhu Scheme in Bengali

পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধুর যোজনা ২০১৯-২০ (কৃষক তালিকা, আবেদনপত্র অনলাইন ডাউনলোড, যোগ্যতা মানদণ্ড, জীবন বীমা পরিমাণ)

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকার রাজ্যের কৃষক ও কৃষি মজুরদের জন্য বিশেষ উপহারের পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনার অধিনে চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা সাহায্যের পাশাপাশি পরিবারের জন্য বীমা সুরক্ষাও পাবেন। কৃষক বন্ধু যোজনার পাশাপাশি আবেদনকারীরা আর্থিক সহযোগিতাও পাবেন যা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে চালনা করতে সাহায্য় করবে।

wb krishak bandhu scheme

যোজনার নামকৃষক বন্ধু যোজনা
চালু হয়েছেপশ্চিমবঙ্গ
চালু করেছেনমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘোষণার দিনজানুয়ারী ২০১৯
বাস্তবায়নের তারিখ২০১৯
রেজিস্ট্রেশন শুরুর তারিখফেব্রয়ারী ২০১৯
উপকারীরাজ্যের কৃষক
পরিচালনার দায়িত্বপশ্চিমবঙ্গ কৃষি দফতর
টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরনেই
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটmatirkatha.net

কৃষক বন্ধু যোজনার মূল বৈশিষ্ট্য –

  • কৃষিবিভাগের উন্নতি – এই যোজনাটি চালু করার পিছনে রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য় হল গরীব চাষী ও কৃষি মজুরদের সাহায্য করা। অনেক সময়েই প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা প্রয়োজনীয় শস্য উতপাদন করতে পারেন না। এই যোজনার সাহায্য়ে কখনও লোকসানের মুখে পড়লেও তাদের আর চিন্তিত হতে হবে না।
  • কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা –  রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে প্রতিটি যোগ্য আবেদনকারী বছরে ৫০০০ টাকা অনুদান পাবেন।
  • শস্য সহযোগীতা – নির্ধারিত টাকা কৃষকরা পাবেন একবার খারিফ শস্য উৎপাদনের সময় ও আরেক বার রবি শস্য উৎপাদনের সময়।
  • ইনস্টলমেন্টে টাকা – টাকা বছরে দুবার দুভাগে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
  • কৃষকদের পরিবারের জন্য জীবনবীমা – শস্য কেনার টাকার পাশাপাশি রাজ্যসরকার কৃষক ও কৃষি মজুরদের পরিবারের জন্য জীবনবীমা করার পরিকল্পনাও করেছে। আবেদনকারীর কৃষকের মৃত্যুর পর তার পরিবার দুই লক্ষ টাকা পাবেন।
  • উপভোক্তার সংখ্যা – সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের এই যোজনার অধীনে এই রাজ্যে বসবাসকারী প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষক ও কৃষি মজুর উপকৃত হবে।
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন – এই যোজনায় যাবতীয় টাকার লেনদেন অবেনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের মাধ্যমেই হবে। এতে যেমন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে সঠিক আবেদনকারীই টাকা পাচ্ছেন পাশাপাশি তৃতীয় ব্যাক্তির হস্তক্ষেপও কম হবে।

আবেদন করার জন্য যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় নথি –

. আবাসিক মানদন্ড – পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই যোজনাটি চালু করেছেন রাজ্যের কৃষকদের উন্নতিসাধ্যে। যদিও আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে তার বাসস্থানের যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

২. জীবিকার মানদন্ড – যেহেতু এই যোজনাটি কেবলমাত্র কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সেহেতু কৃষক ও কৃষি মজুররাই এই আবেদন করতে পারেন ও এই যোজনার লাভ পাওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

৩. বয়সের মানদন্ড – রাজ্যসরকারের তরফে জানান হয়েছে প্রতিটি আবেদনকারী যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তারা বীমার আওতায় আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

৪. ব্যাক্তিগত পরিচয়পত্র – এই যোজনার লাভ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের কপি জমা দিতে হবে।

৫. ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের বিবরণ – যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হবে। সেকারণে, আবেদনকারীকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি জমা দিতে হবে।

 পশ্চিমবঙ্গ কৃষকবন্ধু যোজনা অনলাইন রেডিস্ট্রেশন ফর্ম ও লগইন করার পদ্ধতি

পশ্চিমবঙ্গ কৃষকবন্ধু যোজনার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও লগইন পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে জানার জন্য আবেদরকারীকে matrikatha.net ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে হবে। কৃষকদের অনলাইনেই ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। এরপরে, তাদের ওয়েবসাইটের নির্দেশ মত লগইন করতে হবে আয় যোজনা ও মৃত্যু সহযোগিতার সুবিধা পাওয়ার জন্য। এই যোজনায় এই দুটিই হল প্রধান বৈশিষ্ট্য। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল।

  • প্রথমেই আপনাকে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট http://matirkatha.net/ খুলতে হবে।
  • এরপরেই হোমপেজ দেখা গেলে কৃষকবন্ধু লেখা ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপরেই কৃষক বন্ধু সাইন ইন লেখা অংশে ক্লিক করে সাইন ইন করতে হবে।
  • সঠিক জায়গায় ক্লিক করার পরেই যোজনায় লগন করার উইনডোটি খুলে যাবে।
  • সাইন ইন অপশনে ক্লিক করলেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম খুলে যাবে।
  • এখানে আপনাকে আপনার যাবতীয় বিবরণ লিখতে হবে। লেখা হয়ে গেলে সাবমিট বটনে ক্লিক করতে হবে।

ফর্ম ফিলআপ করে জমা দেওয়ার পরেই আবেদনকারীরা ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড পাবেন যা দিয়ে তারা নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।

মৃত্যু সহযোগিতার বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনপত্র ডাউনলোড

মৃত্যু উপকারীতা যোজনা ২০১৯ সালের জানুযায়ী মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা অনলাইনের আবেদন করতে পারেন ও অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। তাদের অনলাইনেই আবেদনপত্র ফিলআপ করতে হবে। এতে আবেদনকারীর যাবতীয় সঠিক তথ্য লিখতে হবে। মৃ্ত্যু উপকারিতার জন্যও আবেদন জমা দেওয়া যাবে। এর জন্য আবেদন কারীকে সঠিক লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সবসময়েই জানিয়েছেন তার সরকার চিরকাল সাধারন ও গরীব মানুষের সাহায্য় করতে তৎপর। বর্তমানে চাষীদের অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  রাজকোষ ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই য়োজনার ঘোষণা ও রাজ্যের কৃষকদের অতিরিক্ত সাহায্য়ের ফলে অবশ্যই সরকারের চাপ আরও বাড়বে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছে তিনি ভবিষ্যতে এরকমই আরও বেশ কিছু যোজনার ঘোষণা করবেন।

Other links –

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *